বাংলাদেশের ফুটবলের স্বর্ণযুগ ও বর্তমান অবস্থা আশির দশকের স্মৃতি থেকে আজকের চ্যালেঞ্জ
ফুটবলের স্বর্ণযুগ ও বর্তমান অবস্থা: আশির দশকের স্মৃতি থেকে আজকের চ্যালেঞ্জ
ফুটবল
শুধু একটি খেলা নয়,
এটি বাঙালির আবেগ, ভালোবাসা এবং ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি।
একসময় ফুটবল ছিল আমাদের দেশের
প্রধান বিনোদন, যা লক্ষ লক্ষ
মানুষকে স্টেডিয়ামমুখী করত। বিশেষ করে আশির দশকের ফুটবল ইতিহাস ছিল এক সোনালী
অধ্যায়, যখন মাঠের ঘাসজুড়ে
খেলোয়াড়দের পায়ের জাদুতে বিমোহিত হতেন দর্শক। কিন্তু
সময়ের স্রোতে সেই সোনালী দিনগুলো
যেন অনেকটাই ম্লান। আজকের প্রবন্ধে আমরা সেই স্বর্ণযুগের
স্মৃতিচারণ করব এবং বর্তমান
ফুটবলের ক্লাব ফুটবলের চ্যালেঞ্জ এবং সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-এর প্রেক্ষাপটে এর
অবস্থান বিশ্লেষণ করব।
আশির দশকের ফুটবল: এক সোনালী অধ্যায়
আশির
দশক ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের
স্বর্ণযুগ। প্রতিটি ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে
টিকিট পাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন,
দর্শকদের গগনভেদী গর্জন আর খেলোয়াড়দের মাঠে
নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার দৃশ্য
আজও অনেকের স্মৃতিতে অমলিন। সে সময় আবাহনী,
মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-এর মতো
ক্লাবগুলোর প্রতি মানুষের ছিল অন্ধ সমর্থন।
ঢাকা লিগের ম্যাচগুলো জাতীয় উৎসবে পরিণত হতো।
- তারকা
খেলোয়াড়দের
আধিপত্য: কাজী সালাউদ্দিন, চুন্নু, বাদল রায়, মোনেম মুন্না, আসলাম, সাব্বির, রুমী, কায়সার হামিদ, গাউস, সালাম মোর্শেদী – এই নামগুলো তখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তারা শুধু খেলোয়াড় ছিলেন না, ছিলেন একেকজন জননায়ক। তাদের খেলা দেখার জন্য গ্রাম-গঞ্জ থেকে মানুষ রাজধানীতে ছুটে আসত।
- ঘরোয়া
ফুটবলের জৌলুস: সে সময় ঘরোয়া ফুটবল এতটাই শক্তিশালী ছিল যে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বড় অংশই এই লিগ থেকে আসত। লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তুঙ্গে। প্রতিটি ম্যাচেই ছিল টান টান উত্তেজনা।
- দর্শক
উন্মাদনা: স্টেডিয়ামগুলো কানায় কানায় পূর্ণ থাকত। সমর্থকরা নিজ নিজ দলের পতাকা, ব্যানার নিয়ে আসতেন। খেলার ফলাফল তাদের দৈনন্দিন আনন্দ-বেদনায় বড় প্রভাব ফেলত। ফুটবলের প্রতি এই নিরঙ্কুশ ভালোবাসা তৈরি করেছিল এক অসাধারণ পরিবেশ।
- বিদেশি
খেলোয়াড়ের
সীমিত প্রভাব: সে সময় বিদেশি খেলোয়াড়দের সংখ্যা কম ছিল এবং তারা মূলত স্থানীয় খেলোয়াড়দের পরিপূরক হিসেবে আসতেন, মূল তারকা হয়ে নয়। ফলে স্থানীয় প্রতিভার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়নি।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: আঞ্চলিক ফুটবলের আয়না
আশির
দশক থেকে বর্তমান পর্যন্ত
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল চিত্র তুলে ধরে সাফ
চ্যাম্পিয়নশিপ। এটি আঞ্চলিক
শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।
বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের বিভিন্ন
সময়ে পারফর্ম করেছে, কখনও সাফল্যের চূড়ায়
উঠেছে (যেমন ২০০৩ সালে
শিরোপা জয়), আবার কখনও বা
হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়েছে।
- সাফের
উৎপত্তি ও গুরুত্ব: ১৯৯৩ সালে "সাফ গোল্ড কাপ" হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফুটবলের মানোন্নয়ন এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোই ছিল এর মূল লক্ষ্য।
- বাংলাদেশের
পারফরম্যান্স:
- ২০০৩
সালের গৌরব: নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে মালদ্বীপকে হারিয়ে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, যা পুরো দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছিল। এই জয় প্রমাণ করেছিল, সঠিক পরিকল্পনা এবং দৃঢ় সংকল্প থাকলে বাংলাদেশ যেকোনো অর্জন করতে পারে।
- বর্তমান
অবস্থা: ২০০৩ সালের পর থেকে বাংলাদেশের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পারফরম্যান্স মিশ্র। যদিও দল মাঝেমধ্যে ভালো খেলার ঝলক দেখায়, তবে ধারাবাহিকতার অভাবে তারা আর শিরোপা জেতার মতো জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। বর্তমানে বাংলাদেশ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে, যা সামগ্রিক ফুটবল পরিস্থিতির প্রতিফলন।
- আঞ্চলিক
ফুটবলের চ্যালেঞ্জ: সাফভুক্ত দেশগুলো ফুটবলে বিশ্ব মঞ্চে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, আর্থিক সংকট, এবং আধুনিক ফুটবল জ্ঞান ও প্রশিক্ষণের অভাব এই অঞ্চলের ফুটবলের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বর্তমান প্রেক্ষাপট: চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তন
আশির
দশকের সেই উন্মাদনা আজ
অনেকটাই ম্লান। স্টেডিয়ামগুলোতে দর্শক খরা, ক্লাবগুলোর আর্থিক
সংকট, এবং সামগ্রিকভাবে ফুটবলের
প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ায় এই
খেলাটি তার হারানো গৌরব
ফিরে পেতে সংগ্রাম করছে।
ক্লাব ফুটবলের চ্যালেঞ্জ: হারানোর পথে ঐতিহ্যের দ্যুতি
বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের চ্যালেঞ্জগুলো বহুবিধ এবং
গভীর শিকড়যুক্ত। এই চ্যালেঞ্জগুলোই আজকের
ফুটবলের নিম্নমুখী প্রবণতার প্রধান কারণ:
- আর্থিক
সংকট: স্পন্সরশিপের অভাব, টিকেট বিক্রি থেকে আয় কমে যাওয়া এবং বড় বিনিয়োগকারীর অভাবে বেশিরভাগ ক্লাবই আর্থিক সংকটে ভুগছে। ফলে খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা প্রদানে অনিয়ম এবং মানসম্মত অনুশীলন ও প্রশিক্ষণের অভাব দেখা যায়।
- খেলোয়াড়
তৈরির অভাব: অ্যাকাডেমিভিত্তিক ফুটবল উন্নয়নে বিনিয়োগের অভাবের কারণে নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসছে না। ক্লাবগুলো তরুণদের পেছনে অর্থ ব্যয় করতে আগ্রহী নয়, বরং তারা স্বল্প সময়ে বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর বেশি নির্ভরশীল হচ্ছে।
- বিদেশি
খেলোয়াড়ের
প্রভাব: বর্তমানে ক্লাবগুলোতে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও কিছু বিদেশি খেলোয়াড় মানসম্পন্ন, তবে অনেকে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সুযোগ সীমিত করে দিচ্ছেন এবং তাদের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছেন। এর ফলে জাতীয় দলের জন্য পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন দেশীয় খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে না।
- মাঠ
ও অবকাঠামোর অভাব: আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা, মানসম্মত খেলার মাঠ এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধার অভাব বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা। খেলোয়াড়রা পর্যাপ্ত মানসম্মত পরিবেশে প্রশিক্ষণ নিতে পারছে না।
- দর্শক
খরা: আশির দশকের দর্শক উন্মাদনা আজ নেই। লিগের ম্যাচগুলোতে হাতেগোনা কিছু দর্শক উপস্থিত থাকেন। বিনোদনের অন্যান্য মাধ্যম বৃদ্ধি এবং ফুটবলের মানের অবনতির কারণে মানুষ মাঠমুখী হচ্ছে না।
- পেশাদারিত্বের
অভাব: লিগ পরিচালনা, ক্লাব ব্যবস্থাপনা, এবং খেলোয়াড়দের পেশাদারিত্বে ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যের অভাব পরিলক্ষিত হয়।
ফুটবলের মান নিচে নামার কারণসমূহ (UL List):
- দুর্নীতি
ও অব্যবস্থাপনা
- দীর্ঘমেয়াদী
পরিকল্পনা ও সঠিক উদ্যোগের অভাব
- ঘাসফড়িং
পর্যায়ে
(Grassroots level) ফুটবলের
বিকাশ না হওয়া
- অন্যান্য
খেলার (যেমন ক্রিকেট) জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও পৃষ্ঠপোষকতা লাভ
- আধুনিক
প্রশিক্ষণ পদ্ধতির অভাব ও কোচদের অপ্রতুলতা
- ফুটবল
ফেডারেশন ও ক্লাবগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব
তুলনামূলক চিত্র: আশির দশক বনাম বর্তমান
দিক |
আশির দশক (১৯৮০ এর দশক) |
বর্তমান (২০২০ এর দশক) |
দর্শক উপস্থিতি |
স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ |
দর্শক খরা, শূন্য গ্যালারি |
খেলোয়াড়ের
মান |
স্থানীয় তারকাদের আধিপত্য, উচ্চ মান |
বিদেশি নির্ভরতা, স্থানীয়দের মান পতন |
ক্লাব ফুটবল |
শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জনপ্রিয়তা |
আর্থিক সংকট, মানের অবনতি |
মিডিয়া কভারেজ |
সংবাদপত্র ও রেডিওতে ব্যাপক
প্রচার |
সীমিত, ক্রিকেট কেন্দ্রিক |
মাঠের অবস্থা |
তুলনামূলক ভালো, নিয়মিত ব্যবহার |
রক্ষণাবেক্ষণের
অভাব, খেলার অনুপযোগী |
আর্থিক সচ্ছলতা |
ক্লাবের নিজস্ব আয়, স্পন্সরশিপ |
স্পন্সরশিপের অভাব, ফেডারেশন নির্ভরতা |
ফুটবলের হারানো গৌরব ফেরানোর উপায় (OL List):
ফুটবলকে
তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে
প্রয়োজন সুপরিকল্পিত এবং দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ:
- দীর্ঘমেয়াদী
পরিকল্পনা: ফেডারেশন ও ক্লাবগুলোকে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
- ঘাসফড়িং
পর্যায়ের উন্নয়ন: দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ফুটবল অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করে ছোটবেলা থেকেই খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। স্কুল ফুটবল ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে।
- আর্থিক
বিনিয়োগ ও স্বচ্ছতা: ফুটবলে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। একই সাথে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
- দক্ষ
কোচ ও প্রশিক্ষক: আধুনিক ফুটবল জ্ঞানসম্পন্ন কোচ ও প্রশিক্ষক তৈরি এবং তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশি কোচ নিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় কোচদের মানোন্নয়নে জোর দিতে হবে।
- পেশাদারিত্ব
বৃদ্ধি: ক্লাব ব্যবস্থাপনা, লিগ পরিচালনা এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। খেলোয়াড়দের চুক্তি, বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা উন্নত করতে হবে।
- বিদেশি
খেলোয়াড় নীতি: বিদেশি খেলোয়াড়দের সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে রেখে স্থানীয় খেলোয়াড়দের খেলার সুযোগ বাড়াতে হবে। মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড় আনার দিকে জোর দিতে হবে, যারা স্থানীয়দের অনুপ্রাণিত করতে পারে।
- মার্কেটিং
ও প্রচার: ফুটবলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে আধুনিক মার্কেটিং কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিভিশন ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ফুটবলের প্রচারণা বাড়াতে হবে।
- অবকাঠামোগত
উন্নয়ন: খেলার মাঠ, প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং স্টেডিয়ামগুলোর আধুনিকায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে।
উপসংহার
বাংলাদেশের
ফুটবল এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম
করছে। আশির দশকের সেই
স্বর্ণালী স্মৃতি আজ কেবলই অতীত।
তবে ফুটবল আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। এখনও
বাংলাদেশের ফুটবলের প্রতি অগাধ ভালোবাসা রয়েছে
অসংখ্য মানুষের। সঠিক পরিকল্পনা, আর্থিক
বিনিয়োগ, জবাবদিহিতা এবং ফুটবলের প্রতি
নিবেদিতপ্রাণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ফুটবল তার হারানো গৌরব
ফিরে পেতে পারে। নতুন
প্রজন্মের মধ্যে ফুটবলকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে
এবং তাদের জন্য একটি সুগঠিত
পথ তৈরি করে দিতে
হবে, যাতে ভবিষ্যতে আবারও
আমরা ফুটবলের সোনালী দিনের সাক্ষী হতে পারি।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী (FAQs)
প্রশ্ন
১: আশির দশকে বাংলাদেশের ফুটবল এত জনপ্রিয় ছিল কেন? উত্তর: আশির দশকে বাংলাদেশে
ফুটবলের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ ছিল স্থানীয়
তারকা খেলোয়াড়দের আধিপত্য, ক্লাবগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, এবং বিনোদনের অন্যান্য
মাধ্যমের অভাব। সে সময় ফুটবল
ছিল মানুষের প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
প্রশ্ন
২: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? উত্তর: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দক্ষিণ
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় মঞ্চ। এটি
বাংলাদেশের ফুটবলের মান মূল্যায়নের একটি
গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ২০০৩ সালে সাফ
চ্যাম্পিয়নশিপ জয় বাংলাদেশের ফুটবলের
সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে
একটি।
প্রশ্ন
৩: বর্তমান বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কী কী? উত্তর: বর্তমান ক্লাব ফুটবলের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো আর্থিক সংকট,
খেলোয়াড় তৈরির প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা, বিদেশি খেলোয়াড়ের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা,
মাঠ ও অবকাঠামোর অভাব,
দর্শক খরা এবং পেশাদারিত্বের
অভাব।
প্রশ্ন
৪: বাংলাদেশের ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য কী করা উচিত? উত্তর: ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার
জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, ঘাসফড়িং পর্যায়ে উন্নয়ন, পর্যাপ্ত আর্থিক বিনিয়োগ, দক্ষ কোচ ও
প্রশিক্ষক তৈরি, পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি, সঠিক বিদেশি খেলোয়াড়
নীতি এবং কার্যকর মার্কেটিং
ও প্রচারের প্রয়োজন।
প্রশ্ন
৫: বর্তমানে নারী ফুটবলের অবস্থান কেমন? উত্তর: পুরুষ ফুটবলের অবনতির মুখেও বাংলাদেশের নারী ফুটবল সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে বেশ সাফল্য অর্জন
করেছে, বিশেষ করে সাফ নারী
চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতে তারা দেশের
জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। এটি
প্রমাণ করে যে সঠিক
পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ থাকলে
ফুটবলে সাফল্য আনা সম্ভব।